🧪 আল-আশফিয়া: সাতদিনের রুকইয়াহ ডিটক্স প্রোগ্রাম
আল-আশফিয়া – “শিফা” শব্দের বহুবচন। অর্থাৎ “আরোগ্যসমূহ”।
এই কোর্সটি এমন কিছু রুকইয়াহ ভিত্তিক উপাদানের সমন্বয়, যেগুলোকে কুরআন-হাদীসে বরকতময় ও শিফার উৎস বলা হয়েছে।
এটাই হলো — "The Collection of Cures!"
📜 উৎস ও অনুমোদন
এই রুকইয়াহ প্রেসক্রিপশনটি দিয়েছেন শাইখ আদিল বিন তাহির মুকবিল হাফিযাহুল্লাহ, যিনি সৌদি আরবে দীর্ঘদিন যাদুকরদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন – Director of Destroying Magic!
এটি বিশেষভাবে উপকারী –
🔹 যাদু
🔹 জিনের কষ্ট
🔹 বদনজর
🔹 এবং জটিল শারীরিক ব্যাধির জন্য।
📦 প্রস্তুতি: যা যা লাগবে
১. পানি (৩.৫–৪ লিটার)
-
সবচেয়ে ভালো: জমজম
-
না পেলে: বৃষ্টির পানি
-
নাহলে: সাধারণ পানি
(বরকতের জন্য একসাথে মিক্স করে নিতে পারেন)
২. অলিভ অয়েল (১০০ মি.লি.)
-
এক্সট্রা ভার্জিন, মধ্যপ্রাচ্যীয় হলে উত্তম।
-
মধু (২৫০ গ্রাম)
-
পিওর ও কাঁচা মধু ব্যবহার করতে হবে।
-
-
কালোজিরা (৫০ গ্রাম)
-
ব্যবহারের আগে পরিষ্কার করে নিন।
-
-
মুশাফ (কোরআন শরীফ)
-
তিলাওয়াত করার জন্য।
-
📖 ফুঁ দেওয়ার জন্য কুরআনি আয়াতসমূহ
এই উপকরণগুলো সামনে রেখে নিচের আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করুন এবং পানি, তেল, মধু ও কালোজিরায় ফুঁ দিন:
আয়াত | বার |
---|---|
সূরা ফাতিহা | ৭ বার |
আয়াতুল কুরসি | ৭ বার |
সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস | ৩ বার করে |
সূরা বাকারা | সম্পূর্ণ |
📌 একসাথে শেষ করতে না পারলে ধাপে ধাপে ২-৩ দিনে পড়েও প্রস্তুত করতে পারেন।
📅 ৭ দিনের রুকইয়াহ ব্যবহারের নিয়ম
🕯 রাতের রুটিন:
১. ঘুমের আগে অলিভ অয়েল দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মালিশ করুন (প্রথম ৩ দিন)। পরবর্তী ৪ দিনে শুধুমাত্র ব্যথাযুক্ত স্থানে।
২. এরপর আধা গ্লাস রুকইয়ার পানিতে,
-
১ চা চামচ মধু + ৭টি কালোজিরা
-
মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।
🚿 সকালের রুটিন:
১. গোসলের পানিতে এক গ্লাস রুকইয়ার পানি মিশিয়ে গোসল করুন।
২. এরপর আবার একইভাবে মধু + কালোজিরা মিশিয়ে পান করুন।
(রোজার সময় সাহরির শেষ সময়ে খাবেন।)
🔍 সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া
দিন | কী ঘটতে পারে? |
---|---|
১ম দিন | অনেক সময় কিছুই অনুভব হবে না। |
২-৩ দিন | সমস্যা বাড়তে পারে – মাথাব্যথা, ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব, অস্থিরতা। |
৪+ দিন | ধীরে ধীরে উপসর্গ কমে যাবে ইনশাআল্লাহ। |
৭ম দিন | অধিকাংশ মানুষ স্বস্তি, হালকা অনুভব করে। |
✅ প্রয়োজনে কোর্স ৮–১০ দিন পর্যন্ত করা যায়।
❌ তবে একনাগাড়ে কয়েক সপ্তাহ চলা ঠিক নয়।
📒 বিশেষ পরামর্শ
-
গুনাহ থেকে ক্ষমা চেয়ে ইস্তেগফার করুন।
-
প্রতিদিন মাসনুন যিকির-দোয়া নিয়মিত করুন।
-
রুকইয়াহ অডিও শুনুন বা নিজে তিলাওয়াত করুন।
-
প্রতিদিন সুরা বাক্বারা তিলাওয়াত/শোনার চেষ্টা করুন।
-
নোটবুকে প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা লিখে রাখুন।
-
ব্যবহৃত পানি-তেল-মধু পরে আবারও ব্যবহার করা যাবে।
🤲 শেষ কথা:
"আমরা কুরআনের মাধ্যমে মুমিনদের জন্য যা নাযিল করি, তা হচ্ছে রহমত ও শিফা।"
– সূরা বনি ইসরাইল: ৮২
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে শারীরিক ও আত্মিক রোগ থেকে মুক্ত করুন,
আমিন।
কার্টেসিঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ