রুকইয়াহ শেষ হওয়ার সাধারণ লক্ষণ
-
রোগীর জিন বা জাদুর সমস্যা ধীরে ধীরে কমে আসা
-
রুকইয়াহ করার সময় যেসব উপসর্গ ছিল তা অনেকাংশে বা পুরোপুরি চলে যাওয়া
-
রোগী যখন তার অসুস্থতা থেকে প্রায় মুক্ত বোধ করে
-
সমস্যা ধাপে ধাপে কমে যাওয়া, শেষ হওয়ার কিছুদিনে কোনো লক্ষণ না থাকা
রুকইয়াহ শেষ হয়েছে কি না যাচাই করার পদ্ধতি
১. লক্ষণ ও উপসর্গ মিলিয়ে পরীক্ষা
-
যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার শরীরে ছোট-বড় লক্ষণ না থাকে, ততক্ষণ সতর্ক থাকুন।
-
কিছু লক্ষণ খুবই গুরুতর, যা এক বা দুইটা থাকলেই বিষয়টা জটিল মনে হবে।
২. রুকইয়াহর প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ
-
রুকইয়াহ করার পর শরীরে কোনো পরিবর্তন বা প্রতিক্রিয়া দেখা যায় কি না সেটাও দেখতে হবে।
-
অনেক সময় কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তাই অভিজ্ঞ রাকীর পরামর্শ নেওয়া ভালো।
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
-
রুকইয়াহ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও বন্ধ করবেন না:
জিন চলে যাওয়ার পরও অন্তত ১ মাস ধরে নিয়মিত রুকইয়াহ চালিয়ে যেতে হবে। কারণ অনেক সময় জিন ফিরে আসতে পারে বা অন্য কোনো জিন শরীরে ঢুকতে পারে। -
১০০% নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত থামবেন না:
৮০ বা ৯০% নিশ্চয়তা যথেষ্ট নয়। পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রুকইয়াহ চালিয়ে যেতে হবে। -
ধাপে ধাপে সুস্থ হওয়া:
রুকইয়াহ চলাকালে ধাপে ধাপে সমস্যা কমবে, তবে মাঝে মাঝে নতুন ধরনের আক্রমণ বা কৌশল দেখা দিতে পারে। এজন্য নিয়মিত ও ধারাবাহিক রুকইয়াহ প্রয়োজন। -
রুকইয়াহ শেষে সতর্কতা বজায় রাখুন:
রুকইয়াহ শেষ হলেও পুনরায় আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতন থাকুন। -
যদি সমস্যা আবার শুরু হয়, দ্রুত পুনরায় রুকইয়াহ শুরু করুন।
সারাংশ
রুকইয়াহ সম্পূর্ণ হয়েছে বলতে তখনই পারা যায় যখন
-
আপনার শরীর ও মনের সব লক্ষণ সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যায়
-
অন্তত ১ মাস নিয়মিত রুকইয়াহ করার পর আর কোনো প্রতিক্রিয়া বা সমস্যা দেখা না দেয়
-
এবং আপনি ১০০% আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারেন, আমি সুস্থ।
বিঃদ্রঃ এই তথ্য উস্তায মুহাম্মাদ টিম হাম্বলের প্রবন্ধ এবং রুকইয়াহ বইয়ের পরিশিষ্ট থেকে নেওয়া। ধৈর্য ধরে নিয়মিত রুকইয়াহ করলে ইনশাআল্লাহ আরোগ্য সম্ভব।
সুস্থ হতে আমার এত দেরি লাগছে কেন?
কার্টেসিঃ রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডি